মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন

জয় হাতছাড়া রহমতগঞ্জের, মোহামেডান ও শেখ রাসেলের ড্র

স্পোর্টস রিপোর্টার, ই-কণ্ঠ টোয়েন্টিফোর ডটকম ॥ দশম ম্যাচে এটা তৃতীয় ড্র রহমতগঞ্জের। আগের ২ জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে আগের মতোই অষ্টম স্থানে আছে তারা। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে এটা রাসেলের চতুর্থ ড্র। আগের ১ জয়ে মাত্র ৭ পয়েন্ট নিয়ে ১২ দলের মধ্যে দশম স্থানে আছে তারা। যদিও পয়েন্ট টেবিলে একধাপ উন্নতি ঘটেছে তাদের। তারপরও কোন সন্দেহ নেইÑ অবমনের শঙ্কায় ধুঁকছে কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে গড়া এই দলটি!

১ মিনিটের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে উঠল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ম্যাচের বাকিটা সময় আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণ হলো বটে, কিন্তু জয়সূচক গোলের দেখা পেল না কোনো দলই। প্রতিপক্ষকে চমকে দিয়ে এগিয়ে গেল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি। ‘ডাইলপট্টি’ খ্যাত রহমতগঞ্জ ৩মার্চ সোমবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে পয়েন্ট কেড়ে নিয়েছে আরেকটি প্রতিষ্ঠিত শক্তিশালী ফুটবল দলের। আরেকটু হলেই রহমতগঞ্জ হারিয়ে দিত রাসেলকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পেনাল্টি মিস করায় তা আর করতে পারেনি তারা। ফলে ১-১ গোলে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।

বসুন্ধরা কিংস এ্যারেনায় সোমবার শেখ রাসেল ও রহমগঞ্জের ম্যাচটি ১-১ সমতায় শেষ হয়েছে। আর দিনের আরেক ম্যাচে কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে গোলশূন্য ড্রয়ে রুখে দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি।

১০ রাউন্ড শেষে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে আছে মোহামেডান। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে পুলিশ এফসি। অষ্টম স্থানে থাকা রহমতগঞ্জের পয়েন্ট ৯। টানা দুই ড্রয়ে অবনমন অঞ্চল থেকে বেরিয়ে এসেছে শেখ রাসেল, ৭ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে আছে তারা।

৪ মিনিটেই পিছিয়ে পড়েছিল শেখ রাসেল। ওয়ালি ফয়সালের ক্রস বক্সে ঠিকঠাক নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি সানডে চিজোবা। গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা ডিফেন্ডার আইজার আখমেতভ পারেননি বল ক্লিয়ার করতে। গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার সামনেও সুযোগ ছিল বল গ্লাভসে নেওয়ার। আখমেতভ ও রানার ব্যর্থতার সুযোগ কাজে লাগান সানডে। পরের মিনিটেই সমতার স্বস্তি ফিরে শেখ রাসেলে। রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো ইনে বক্সে বল পেয়ে যান জুয়েল।

সপ্তদশ মিনিটে ফিলিপ আজাহর স্পট কিক ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়। বক্সে ঘানার এই ফরোয়ার্ডকে রানা ফাউল করলে পেনাল্টি পায় রহমতগঞ্জ। দ্বিতীয়ার্ধেও শেখ রাসেলকে চাপে রাখে পুরান ঢাকার দলটি। ৫১তম মিনিটে সানডের কোনাকুনি শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দেওয়ার পর ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়।

৭৭ মিনিটে রহমতগঞ্জের বক্সে দ্রুতগতিতে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন জুয়েল। তাকে আটকে দেয়ার মতো কোন ডিফেন্ডার তখন সেখানে ছিলেন না। কিন্তু গোলের সহজ সুযোগটা এবার আর কাজে লাগাতে পারেননি জুয়েল। পোস্ট লক্ষ্য করে নেয়া তার বা পায়ের শটটি চলে গেছে পোস্টের বাইরে। ইনজুরি টাইমে বা প্রান্ত থেকে রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো বক্সে পড়লেও হেডে ক্লিয়ার করেন আসররভ।
এই দুই ম্যাচ দিয়েই শেষ হয়েছে লিগের দশম রাউন্ড।

২দিন বিরতির পর ৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ১১তম রাউন্ডের খেলা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com